June 28, 2024, 12:05 am

সংবাদ শিরোনাম
রংপুর বিভাগের সমবায় কর্মকর্তা ও সমবায়ী কর্তাদের নৈরাজ্যে কোটি কোটি টাকা লোপাট-দিশেহারা সাধারণ সমবায়ী গোয়াইনঘাটে হাফেজ্জী হুজুর রহঃ সেবা ফাউন্ডেশনের ঢেউটিন বিতরণ কুড়িগ্রামের ভুরুমারীতে ভিনদেশী রঙের দুই সন্তানকে নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বাবা মা নরসিংদীর চাঞ্চল্যকর কান্তা হত্যার পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মামুনকে গ্রেফতার করলো রৌমারী থানা পুলিশ পটুয়াখালীতে ১ হাজার ২’শত কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ৬ হাজার নারিকেল চারা বিতরন সান্তাহার পৌরসভার ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা সান্তাহার পৌরসভার ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা পার্বতীপুরে ৩দিন ব্যাপি কৃষি মেলার শুভ উদ্বোধন ও বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ পার্বতীপুরে পাট উৎপাদনকারী কৃষকদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন উখিয়ায় প্রাইভেটকারসহ ২৫ হাজার ৮’শ ইয়াবা নিয়ে চালক আটক

বিয়ানীবাজারের সেই মৃত কেয়ারটেকার জীবিত উদ্ধার

এইচ এম অভিঃঃ

বিয়ানীবাজারে একটি বাড়ির কেয়ারটেকার তার বিছানা ও থাকার কক্ষে রক্তসাদৃশ্য তরল পদার্থ ছিটিয়ে মধ্যরাতে হঠাৎ উধাও হয়ে গিয়েছিলেন। তবে ৪০ ঘণ্টা মাথায় রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। সেই কেয়ারটেকারকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর নিশ্চিত হওয়া গেছে, মৃত্যুর নাটক সাজিয়ে আত্মগোপন করেছিলেন ওই যুবক।

রোববার (২ এপ্রিল) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিয়ে সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, গত শুক্রবার (৩১ মার্চ) ভোর রাতে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমান উদ্দিন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানান যে, মাথিউরা ইউনিয়নের অন্তর্গত মাথিউরা পূর্বপার গ্রামের মো. আব্দুল হেকিমের (৬৮) বাড়ির কেয়ারটেকার নাহিদ ইসলাম (২৮) খুন হয়েছেন। তার ঘরভর্তি রক্ত।

খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানার একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে বিছানা, ঘরের মেঝে এবং বারান্দা রক্তে সয়লাব থাকলেও লাশ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড মনে হওয়ায় এর রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য বিয়ানীবাজার থানার একটি গোয়েন্দা দল অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করে। অবশেষে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (১ এপ্রিল) খুন হওয়ার নাটক সাজানো নাহিদকে নরসিংদী থেকে গ্রেপ্তার করে বিয়ানীবাজার থানাপুলিশের একটি চৌকস দল।

পুলিশ সুপার জানান- প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেপ্তারকৃত নাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তিনি প্রায় ১৪ বছর ধরে বিয়ানীবাজারের ওই এলাকায় আছেন। কিন্তু তার প্রকৃত পরিচয় কেউ জানতেন না। নাহিদের বাড়ি নিলফামারীতে এবং সেখানে অপরাধে জড়িয়ে পড়ায় তিনি বিয়ানীবাজারে আত্মগোপনে আছেন।

পুলিশ জানতে পারে, নাহিদ মূলত অনলাইন জুয়ার সাথে জড়িত ছিলেন এবং এর মাধ্যমে বড় অঙ্কের টাকা তার ঋণ হয়ে যায়। এরপর তিনি কৌশলে জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম পরিবর্তন করে স্থায়ী ঠিকানা গোপন রেখে বিয়ানীবাজারের ওই বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে থাকতে শুরু করেন এবং সেই ঠিকানা স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন। প্রকৃতপক্ষে তার নাম তাজুল ইসলাম। তিনি নিলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানার বড়ভিটা পূর্বপাড়া গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে।

এদিকে, নাহিদের নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশের এ নিয়ে সন্দেহ হলে তার ঘর তল্লাশি করে একটি ডায়েরি পায়। যাতে অনেক দেনা-পাওনার হিসাব লিখে রেখেছিলেন নাহিদ। তল্লাশি করে তার ঘরে একটি বালতি ও মগে রং গুলিয়ে রাখার আলামত পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে নাহিদকে নরসিংদী থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর